Hyundai Nexo Price in India and Launch Date: ভারতে বৈদুত্যিক গাড়ির বিক্রি অনেক গুণ বাড়লেও, এই মুহূর্তে ভারতের বাজারে কোনো হাইড্রোজেন দ্বারা চালিত গাড়ি নেই। তবে এটা খুব শিগগিরই পাল্টাতে চলেছে, হিউন্দাই ভারত মোবিলিটি এক্সপো ২০২৪ এ নিজের হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ভেহিকল (Hydrogen Fuel Cell Electric Vehicle) গাড়ি হিউন্দাই নেক্সো প্রদর্শন করেছে।
হিউন্দাই নেক্সো একটি এসইউভি যার ডিজাইন শুধু আকর্ষণীয় না, এর সাথে ভালো পারফরমেন্স ও প্রদান করে। এই গাড়িটি সম্পূর্ণ হাইড্রোজেনে চলে এবং তার ফলে কোনো রকম পলিউশন ছড়ায় না। ইলেকট্রিক গাড়ির সাথে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ভেহিকল গুলিও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি করছে।
এই প্রতিবেদনে আমরা ভারতে হিউন্দাই নেক্সো এর দাম এবং লঞ্চের তারিখ এর সাথে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ভেহিকল একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো।
Table of Contents
Hyundai Nexo Price in India and Launch Date in Bengali
নেক্সোর লঞ্চ সম্পর্কে হিউন্দাই এখনো কোনো আধিকারিক ঘোষণা করেনি। এই গাড়িটি বৈদ্যুতিক গাড়ির তুলনায় একটি নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করছে ফলে এর দাম অন্যান্য প্রযুক্তির গাড়ির তুলনায় বেশি হবে। হিউন্দাই এই এসইউভিটির দাম সম্পর্কে কোনো রকম ইঙ্গিত দেয়নি। বিভিন্ন সূত্র অনুসারে এই গাড়িটির দাম Rs.৬৫ লক্ষের উপর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যেহেতু হিউন্দাই নেক্সো একটি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করছে, এই গাড়িটি ভারতে লঞ্চ হতে সময় লাগবে। এই মুহূর্তে একটি নির্দিষ্ট সময়ের অনুমান করা কঠিন। হাইড্রোজেনকে প্রোসেস ও রিফিল করার ইনফ্রাস্ট্রাকচার এই মুহূর্তে ভারতে তৈরি হয়নি। তবে,সরকারের হাইড্রোজেন প্রযুক্তি নিয়ে উৎসাহ দেখে এটা পরিষ্কার যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তির ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: 2024 Honda City Hatchback Price In India and Launch Date
Hyundai Nexo Design in Bengali
হিউন্দাই নেক্সো একটি মডার্ন ও স্টাইলিশ দেখতে এসইউভি। সামনে আমরা একটি বিশাল আকৃতির গ্রিল দেখতে পাই, সামনের বাম্পারে এয়ার কার্টেনের সাথে ডি-পিলারেও এয়ার কার্টেন দেখতে পাওয়া যায় যা এসইউভিটির সামগ্রিক এরোডাইনামিক (aerodynamic) ডিজাইনকে উন্নত করে। এই এসইউভিটিতে হরাইজন এলইডি (LED) হেডল্যাম্প এর সাথে এলইডি ডিআরএল (DRL) দেওয়া হয়েছে। ডিআরএল দুটি একটি এলইডি স্ট্রিপ দ্বারা যুক্ত।
সাইড প্রোফাইলে আমরা ১৯-ইঞ্চ অ্যালয় হুইল দেখতে পাই এবং হুইল আর্কে ব্ল্যাক ক্ল্যাডিং দেখতে পাই। দরজায় এক্সইউভি ৭০০ এর মতন অটো ফ্লাশ ডোর হ্যান্ডেল দেখতে পাওয়া যায়। পিছনে একটি ক্লিন লুক রাখা হয়েছে, এলইডি (LED) টেইলল্যাম্পের সাথে আমরা হিডেন রিয়ার-ওয়াইপার এর ফিচার পাই।
বাইরে এই গাড়িটিতে ৫ টি রঙের বিকল্প দেখতে পাওয়া যায় : ক্রিমি হোয়াইট পার্ল, কপার মেটালিক, টাইটানিয়াম গ্রে ম্যাট, ওসেন ইন্ডিগো পার্ল, আমাজন গ্রে মেটালিক।
Hyundai Nexo Performance and Battery in Bengali
হিউন্দাই নেক্সোতে একটি ১.৫৬ কিলোওয়াট ঘণ্টা (kWh) ব্যাটারি দেখতে পাওয়া যায়। এই এসইউভিটিকে একটি বৈদ্যতিক মোটর শক্তি প্রদান করে। এই মোটরটি সর্বোচ্চ ১২০ কিলোওয়াট শক্তি এবং ৩৯৫ এনএম এর পিক টর্ক উৎপন্ন করতে পারে।
এই গাড়িটির সব থেকে বড় বৈশিষ্ট হল যে হাইড্রোজেনকে মাত্র ৫ মিনিটে রিফিল করা যায়, আর এই গাড়িটি ফুল-ট্যাংক হাইড্রোজেনে ৬০০ কিমির উপর চলতে সক্ষম। জ্বালানি গাড়ির মতন অল্প রিফিলের সময় হওয়াতে এই প্রযুক্তিটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই প্রযুক্তিতে বৈদ্যতিক গাড়ির মতন চার্জ করার কোনো রকম দরকার পরে না।
বৈশিষ্ট্য | বিবরণ |
---|---|
ব্যাটারি ক্ষমতা | ১.৫৬ কিলোওয়াট ঘণ্টা (kWh) |
বৈদ্যুতিক মোটর শক্তি | সর্বোচ্চ ১২০ কিলোওয়াট |
পিক টর্ক | ৩৯৫ এনএম |
হাইড্রোজেন রিফিল | – ৫ মিনিটে রিফিল করা যায় – ফুল-ট্যাংক হাইড্রোজেনে ৬০০ কিমি চলতে সক্ষম |
চার্জিং | বৈদ্যুতিক গাড়ির মত চার্জ করার কোনো রকম দরকার পরে না |
Hyundai Nexo Features in Bengali
এই গাড়িতে নতুন প্রযুক্তি ছাড়াও আরো প্রচুর প্রিমিয়াম ফিচার দেখতে পাওয়া যায়। অন্যান্য ফিচার গুলি হল একটি ১২.৩ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম এবং এর সাথে ৭.০-ইঞ্চ ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা, ওয়্যারলেস চার্জিং প্যাড, এয়ার পিউরিফায়ার, ক্রেল প্রিমিয়াম সাউন্ড সিস্টেম, ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট-সিট, ইত্যাদি।
এই এসইউভিটিতে ইলেকট্রিক টেলগেট এর সাথে ৪৬১ লিটারের বুট স্পেস দেখতে পাওয়া যায়।
What is a Hydrogen Fuel Cell Electric Vehicle (FCEV)? In Bengali
হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ভেহিকল বৈদ্যুতিক গাড়ির মতোই প্রপালশন সিস্টেম প্রযুক্তির ব্যবহার করে। এই গাড়িগুলির ট্যাঙ্কে হাইড্রোজেন ভরা হয় এবং এই হাইড্রোজেনটি শক্তির উৎস। এই হাইড্রোজেনকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করা হয় ফুয়েল সেলের সাহায্যে। এই গাড়িরগুলি প্রকৃতির জন্যে খুব ভালো কারণ জ্বালানি গাড়ির মতো কোনো রকম দূষণ ছড়ায় না। বর্জ পদার্থ হিসেবে কার্বন ডাই অক্সাইড এর জায়গায় শুধুমাত্র স্বচ্ছ জল ত্যাগ করে।
এই গাড়িগুলিকে বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো চার্জ করতে হয় না। হাইড্রোজেন রিফিল করতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগে যা জ্বালানি গাড়ির সমতুল্য। হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল প্রযুক্তির গাড়িগুলি, বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির মতই পরিবেশের ক্ষতি করে না আবার একই সঙ্গে জ্বালানির গাড়ির মত কম সময়ে রিফিল হয়ে যায়। এই বৈশিষ্টের জন্যে এই হাইড্রোজেন গাড়িগুলি আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এই প্রযুক্তির গাড়ি গুলো মোটামুটি ৪৫০ কিমি চালানো যায় একবার রিফিল করে। এর সাথে এফিয়েন্সি বাড়ানোর জন্যে রেজেনেরেটিভ ব্রেকিং সিস্টেমেরে ব্যবহার করে যা তাপ শক্তিকে বিদ্যুতে পরিণত করে।
উপসংহার
এটা বলা যেতে পারে যে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ভেহিকল আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ির তুলনায় বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই গাড়িরগুলির সুবিধার জন্যে জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আপাতত হিউন্দাই নেক্সো ভারতের প্রথম হাইড্রোজেন গাড়ি হতে চলেছে। আস্তে আস্তে যত ইনফ্রাস্ট্রাকচার বাড়বে গাড়িগুলির দাম ও তত কমে যাবে আর আরও মডেল লঞ্চ হবে।
আপনার যদি এই প্রতিবেদনটি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধু আর পরিবারের সদস্যের সাথে শেয়ার করুন আর আমাদের লেটেস্ট খবর পেজটি ও দেখতে পারেন, আপনার সময়ের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
FAQ
হুন্ডাই নেক্সো কি ভারতে আসছে?
যেহেতু হিউন্দাই নেক্সো একটি নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে, এই গাড়িটি ভারতে লঞ্চ হতে সময় লাগবে। এই মুহূর্তে একটি নির্দিষ্ট সময়ের অনুমান করা কঠিন। হাইড্রোজেনকে প্রোসেস ও রিফিল করার ইনফ্রাস্ট্রাকচার এই মুহূর্তে ভারতে তৈরি হয়নি। তবে,সরকারের হাইড্রোজেন প্রযুক্তি নিয়ে উৎসাহ দেখে এটা পরিষ্কার যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তির ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি হয়ে যাবে।