Bajaj CNG Bike Launch Date in India: বিশ্বের প্রথম সিএনজি চালিত বাইক লঞ্চ করতে চলেছে বাজাজ। অটোমোবাইল জগতের অন্যতম যুগান্তরী ঘটনা ঘটতে চলেছে এই বাইকের লঞ্চ এর সাথে। খোদ বাজাজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, রাজীব বাজাজ ঘোষণা করেছেন এই বাইকের লঞ্চ এর সম্ভাব্য সময়কাল।
এই বাইকটি বার বার রাস্তায় পরীক্ষা করতে দেখা গেছে। আগে এই বাইকটি ২০২৫ সালে লঞ্চ হবে বলে জানিয়েছিল সংস্থা তবে, সেই সময়কালকে এগিয়ে ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে লঞ্চ করা হবে।
এই বাইক সিএনজির সাথে পেট্রল জ্বালানি তেও চালানো যাবে কারণ এতে থাকবে ডুয়াল ফুয়েল সিস্টেম। এই আর্টিকেলে আমরা ভারতে বাজাজ সিএনজি বাইক লঞ্চের তারিখ এর সাথে এটির ফিচার, মাইলেজ ও দাম নিয়ে আলোচনা করব।
Table of Contents
Bajaj CNG Bike: কবে হবে লঞ্চ?
২০২৪ সালের জুন মাসেই লঞ্চ হয়ে যাবে বাজাজের সিএনজি বাইক ব্রুজার। ব্রুজার নামটি আধিকারিক না হলেও বিভিন্ন সূত্র অনুসারে এই বাইকটির অভন্তরীন নাম রাখা হয়েছে ব্রুজার ই১০১ (Bruzer E101)। এই ব্রুজার নামটিকে ট্রেড্মার্কও করেছে বাজাজ।
Bajaj CNG Bike: কত হবে দাম?
এবার যেটা আসল প্রশ্ন এই বাইকটির দাম কত হবে? বাজাজ এই মুহূর্তে দাম নিয়ে কোন আধিকারিক ঘোষণা করেনি তবে, ভিবিন্ন সূত্র অনুসারে এই বাইকটির দাম Rs.৮০,০০০/- এক্স-শোরুম হতে পারে।
Bajaj CNG Bike: ইঞ্জিন
রাজীব বাজাজ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে আসন্ন বাজাজের সিএনজি বাইক ১০০সিসি থেকে ১৬০সিসির মধ্যে হবে। তবে, বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী প্রথম সিএনজি বাইকটি ১১০সিসি থেকে ১২৫সিসির মধ্যে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাজাজ বহু বছর ধরে তিন চাকার সেগমেন্টে সিএনজি প্রযুক্তিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে এবং এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে আসন্ন সিএনজি বাইকটিতেও। এটা কোনো রহস্য না যে সিএনজি জ্বালানিতে পেট্রোলের তুলনায় কম শক্তি উৎপন্ন হয়।
ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে যে এই বাইকটি পেট্রল ও সিএনজি দুটি জ্বালানিতে চলতে সক্ষম হবে। যদি আমরা ধরি প্লাটিনার ১১৫.৪৫সিসির ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় তাহলে এই ইঞ্জিনটি পেট্রল জ্বালানিতে ৮.৪৮ বিএইচপির শক্তি আর ৯.৮১ এনএমের টর্ক উৎপন্ন করতে পারবে। সাধারণত সিএনজি জ্বালানিতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পারফরম্যান্সের ঘাটতি দেখতে পাওয়া যায় তাই সিএনজি জ্বালানিতে পারফরমেন্স কমবে।
এই বাইকটিতে একটি ৫-স্পিড গিয়ার্বক্সের আসবে।
Bajaj CNG Bike: মাইলেজ
চার চাকায় আমরা সিএনজি জ্বালানিতে পেট্রোলের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি মাইলেজ দেখতে পাই। যদি আমরা প্লাটিনার সেই ১১০সিসির ইঞ্জিনকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে থাকি তাহলে ৯০কিমি প্রতি লিটারের বেশি মাইলেজ পাওয়া যাবে সিএনজি জ্বালানিতে।
এই ১১০সিসির ইঞ্জিনটির পেট্রল জ্বালানিতে এআরএআই (ARAI) মাইলেজ হল ৭০কিমি প্রতি লিটার। তবে, বাজাজ আগে জানিয়েছিল যে এই বাইকটি পেট্রোলের তুলনায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি সাশ্রয়ী হবে।
Bajaj CNG Bike: পরিবেশের জন্যে লাভবান হবে?
সিএনজি জ্বালানির ইঞ্জিনগুলো পেট্রোলের তুলনায় অনেক কম দূষণ ছড়ায়। বাজাজের অনুযায়ী এই বাইকটি ৫০ শতাংশ কম কার্বন জনিত দূষণ করবে। অতয়েব এই বাইকটি সাশ্রয়ী হওয়ার সাথে পরিবেশের জন্যে ভালো হবে।
রাজীব বাজাজ এটাও জানিয়েছেন যে সংস্থা আগামী ৫ বছরে কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটির অন্তর্গত ৫,০০০ কোটি টাকা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছে।
Bajaj Bruzer: ফিচার্স
এই বাইকটির ফিচার সম্পর্কে কোনো রকম তথ্য দেওয়া হয়নি সংস্থার তরফ থেকে। তবে, এটি সাশ্রয়ী সেগমেন্টকে মাথায় রেখে নির্মাণ করা হবে তাই এটা বলা বাহুল্য যে খুব প্রিমিয়াম ফিচার থাকবেনা। এই বাইকে তবে একটি সুইচ দেওয়া হবে পেট্রল আর সিএনজি মোডকে পরিবর্তন করার জন্যে।
যদি বাইকটির ইঞ্জিনের ক্ষমতা ১২৫সিসির বেশি হয় তাহলে বাধ্যতামূলক ভাবে এবিএস দেওয়া হবে। বাকি ব্রেক আর সাসপেনশন সেটআপ বাকি বাজাজের বাইকগুলির মতোই থাকবে দাম কম রাখার জন্যে।
Bajaj CNG Bike: কার সাথে হবে প্রতিযোগিতা?
এই বাইকটির এই মুহর্তে গোটা বিশ্বে কোন রকম প্রতিযোগি নেই। এই মুহূর্তে অন্য কোনো সন্থার তরফ থেকে কোন রকম সিএনজি বাইক তৈরির খবরও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
FAQ
ভারতে কি সিএনজি বাইক পাওয়া যায়?
২০২৪ সালের জুন মাসেই লঞ্চ হয়ে যাবে বাজাজের সিএনজি বাইক ব্রুজার। ব্রুজার নামটি আধিকারিক না হলেও বিভিন্ন সূত্র অনুসারে এই বাইকটির অভন্তরীন নাম রাখা হয়েছে ব্রুজার ই১০১ (Bruzer E101)। এই ব্রুজার নামটিকে ট্রেড্মার্কও করেছে বাজাজ।