---Advertisement---

Ford Everest or Endeavour Launch: এন্ডেভারের নাম বদল করতে চলেছে ফোর্ড, জানুন কবে হবে লঞ্চ আর দাম

By Sk Imtiaz Ahmed

Updated on:

Follow Us
Ford Everest or Endeavour Launch Date in India and Price

---Advertisement---

Ford Everest or Endeavour Launch: প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের লসের পর ভারতের বাজার কে বিদায় জানিয়েছিল ফোর্ড সেপ্টেম্বর ২০২১ এ। ফোর্ড ভারতে ফিরতে চলেছে এটা আর কোন গোপন কথা না। ২০২৪ এর শুরু থেকেই ফোর্ড এন্ডেভারকে আবার নতুন করে লঞ্চ করার খবর ভিবিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।

এই খবরটি পাকাপাকি হয়ে যখন ফোর্ড তার তামিলনাড়ুর চেন্নাই এর প্ল্যানটিকে জেএসডব্লিউ গ্রুপকে বিক্রি করার পরিকল্পনাটিকে ত্যাগ করেছিল। ২০০৩ সালে ফোর্ড ভারতে এভারেস্টকে লঞ্চ করেছিল এন্ডেভার নামে। এটার পিছনে মূল কারণ ছিল ট্রেডমার্ক না থাকার জন্যে।

তবে, হাফিলহাল এটা জানা গেছে যে এভারেস্ট ট্রেডমার্কটির অধিকার ভারতে সুরক্ষিত করেছে ফোর্ড। তাই এবার এই এসইউভিটিকে ভারতে এভারেস্ট নামের সাথেই লঞ্চ করতে পারে সংস্থা।

অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিবিন্ন দেশে এই এসইউভিটি, এভারেস্ট নামের সাথেই বিক্রি করা হয়।

আরও পড়ুন: ২০২৫ এ ভারতে ফিরছে ফোর্ড ইকোস্পোর্ট তবে নতুন অবতারে

Ford Everest or Endeavour Launch Date in India

Ford Everest or Endeavour Launch in India

ফোর্ডের তরফ থেকে এখনও এভারেস্টের লঞ্চ সম্পর্কে কোন আধিকারিক তারিখ জানানো হয়নি। অটোকারের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষে অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে এভারেস্টের প্রোডাকশন শুরু করতে পারে সংস্থা। তবে, ফোর্ড ভারতের বাজারে তাড়াতাড়ি ফেরত আসার জন্যে প্রথম দিকে এভারেস্টকে সামান্য পরিমানে ইম্পোর্ট করে কমপ্লিটলি বিল্ট ইউনিট হিসেবে বিক্রি করতে পারে।

Ford Everest or Endeavour Price in India

ফোর্ড যেহেতু শুরুর দিকে এভারেস্টকে একটি কমপ্লিটলি বিল্ট ইউনিট হিসেবে বিক্রি করতে পারে তাই এই এসইউভিটির দাম ভারতে Rs.৫০ লক্ষ হতে পারে। তবে, ভারতে এই এসইউভিটির প্রোডাকশন শুরু হলে এই দামটি নেমে Rs.৪০ লক্ষ হতে পারে। এই দাম কমার মূল কারণ হবে ট্যাক্সে ছাড়।

New Ford Everest or Endeavour Design

New Ford Everest or Endeavour Design

পুরোনো জেনেরেশনের তুলনায় নতুন এভারেস্ট আরও বেশি রাগেড লুক পেয়েছে। এর ফলে এই এসইউভিটির ডিজাইন আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ফোর্ড রেঞ্জারের সেই একই প্লাটফর্মকেই ব্যবহার করা হয়েছে এই জেনেরেশনেও।

সামনে আমরা একটি নতুন ম্যাট্রিক্স এলইডি হেডল্যাম্প দেখতে পাই। এই হেডল্যাম্পের সাথে আমরা একটি C-শেপের এলইডি ডিআরএল ও দেখতে পাই। সামনের গ্রিলটিও আকারে বড় করা হয়েছে।

পিছনে আমরা একটি L-শেপের এলইডি টেইলল্যাম্প দেখতে পাই। সাইড প্রোফাইলে আমরা সেরকম কোন পার্থক্য দেখতে পাই না। তবে, ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী ১৭, ১৮ ও ২০-ইঞ্চের অ্যালয় হুইল এর অপশন দেখতে পাওয়া যায়। এই এসইউভিটির ওয়াইল্ডট্র্যাক ভ্যারিয়েন্টে ২০-ইঞ্চের অ্যালয় হুইল পাওয়া যায় যাতে আমরা গ্রেয় কালারের ডিটেলিং দেখতে পাই।

New Ford Everest or Endeavour Dimensions

নতুন এভারেস্ট আগের জেনেরেশনের তুলনায় আকৃতিতে একটু বড়ো হয়েছে। এই এসইউভিটির দৈঘ ৪,৯১৪ মিমি, প্রস্থ ১,৯২৩ মিমি, উচ্চতা ১,৮৪২ মিমি ও হুইলবেস ২,৯০০ মিমি। এই এসইউভিটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স হল ২৪৬ মিমি।

New Ford Everest or Endeavour Interior

New Ford Everest or Endeavour Interior

পুরোনো জেনেরেশনের তুলনায় নতুন এভারেস্টের ইন্টেরিয়র এ অনেক উন্নতি দেখতে পাওয়া যায়। ড্যাশবোর্ডে একটি পোর্ট্রেট-ভিত্তিক ১২-ইঞ্চ টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট দেখতে পাওয়া যায়। এই ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমটি ফোর্ডের SYNC® 4A এর সাথে আসে। এর পাশাপাশি একটি ১২.৪-ইঞ্চ সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার ও দেখতে পাওয়া যায়।

এছাড়াও এভারেস্টে রয়েছে, ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা, প্যানোরামিক সানরুফ, তৃতীয় সারি পাওয়ারড ফোল্ড সিট, ইলেকট্রনিক পার্কিং ব্রেক, ওয়্যারলেস চার্জিং প্যাড, ওয়্যারলেস অ্যাপল কারপ্লে এবং অ্যান্ড্রয়েড অটো, একটি পাওয়ারড টেলগেট ইত্যাদি পাওয়া যায়।

New Ford Everest or Endeavour Performance

ফোর্ড নতুন এভারেস্টকে পুরোনো জেনেরেশনের ইঞ্জিনের সাথে লঞ্চ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগে একটি ১৯৯৬সিসি ইনলাইন ৪-সিলিন্ডার, ৪-ভালভ প্রতি সিলিন্ডার ডিওএইচসি ডিজেল পাওয়ারট্রেন ব্যবহার করা হত। এই ডিজেল ইঞ্জিনটি ৩,৫০০ আরপিএম এ সর্বোচ্চ ১৭০পিএস শক্তি এবং ২০০০-২৫০০ আরপিএম এ ৪২০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে।

এছাড়াও একটি ৩১৯৮সিসি, পাঁচ-সিলিন্ডার ইনলাইন, ডিওএইচসি ডিজেল পাওয়ারট্রেনের অপশন দেখতে পাওয়া যেত। এই ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ৩,০০০ আরপিএম এ ১৯৭পিএস শক্তি এবং ১,৭৫০ আরপিএম এ ৪৭০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে।

New Ford Everest or Endeavour Safety

New Ford Everest or Endeavour Safety

নতুন এভারেস্টে সুরক্ষার দিক থেকে কোন রকম ঘাটতি রাখেনি ফোর্ড। এই এসউইভিতে রয়েছে ৯-টি এয়ারব্যাগের সাথে হ্যান্ডস-ফ্রি পার্কিং, অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, লেন কিপ অ্যাসিস্ট এবং ফোর্ডের প্রি-কলিশন অ্যাসিস্ট। প্রি-কলিশন এসিস্টের সাহায্যে এভারেস্ট নিজে থেকেই ব্রেক প্রয়োগ করতে সক্ষম যদি একটি আসন্ন সংঘর্ষ অনুমান করতে পারে।

আরও পড়ুন:

Conclusion

এন্ডেভার ভারতীয় ক্রেতাদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিল। এই এসউইভিটিকে টয়োটা ফরচুনারের প্রধান প্রতিন্দ্বন্দী হিসেবে গণ্য করা হত। এই এসইউভিটি আবার লঞ্চ হলে টয়োটা ফরচুনার আর এমজি এর গ্লস্টারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে।

Sk Imtiaz Ahmed

হ্যালো, আমার নাম Imtiaz, আমি গাড়ির খবর (GarirKhobor.com) প্রতিষ্ঠিত করেছি, বাংলাতে গাড়ি ও বাইক সম্পর্কিত যাবতিয় তথ্য প্রদান করার উদেশ্যে। আমি ছোটবেলা থেকে গাড়ি ও বাইক নিয়ে উৎসাহি ছিলাম আর ১৮ বছর বয়স থেকেই চালানো শিখতে শুরু করি। আমার বিভিন্ন গাড়ি ও বাইক চালাবার অনুভব আছে এবং আমি চেষ্টা করবো আমার অভিজ্ঞাতার মাধ্যমে আপনাদের অটোমোবাইল সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করার।

---Advertisement---

Leave a Comment